বিশেষ প্রতিবেদন, ১৭ ফেব্রুয়ারি
“কানহাইয়া কুমার কি এবার নীতিশ কুমারের দলে?” রবিবার কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার বর্তমান নেতা তথা প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্রনেতা কানাইয়া কুমারের সাথে অশোক চৌধুরীর মিটিং এর পরে এই রকম জল্পনা বিহারের রাজনীতির অলিতে-গলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। ছাত্রনেতা থাকা অবস্থাতেই ২০১৬ সাল থেকে কানাইয়া কুমার ”টুকরো টুকরো গ্যাং” বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী সময় তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গিরিরাজ সিং এর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন। তিনি আরজেডি প্রার্থী তানভির হাসান কে তাঁর হারের মুখ্য কারণ হিসেবে দাবি করেন। এই বিষয়ে তাঁর পার্টির নেতৃত্বে সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়।
গত ডিসেম্বর মাসে সিপিআই নেতা ইন্দুভূষণ পাটনায় সফরে এলে কানাইয়া কুমার তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। কানাইয়া আগে যেরকম বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সরকারের তীব্র সমালোচকের ভূমিকা পালন করতেন, সেখানে বেশ কয়েক মাস যাবৎ ধরে চলা কৃষক আন্দোলন, উমর খালিদের গ্রেফতারি সহ সমাজকর্মীদের গ্রেফতারির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন । কানাইয়ার এই ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। যদিও দুই পক্ষই এই মিটিংকে নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎকার হিসেবেই বলছেন। এদিকে, বিহারে জেডিইউ শরিক বিজেপি এই সাক্ষাৎকারকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না। এই প্রসঙ্গে জেডইউ নেতা অজয় আলোক বলেছেন, “কানাইয়া যদি তাঁর বিকৃত আদর্শ ত্যাগ করতে পারেন তাহলে তিনি আমাদের দলে স্বাগত।” ১৭ তারিখ কানাইয়া কুমারের পার্টি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, কানাইয়ার জেডিইউতে যাওয়ার খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন। যদিও সংশ্লিষ্ট মহল এই বিষয়ে লক্ষ্য রেখেছে।