কৃষিক্ষেত্রে খড়গপুর আইআইটির নতুন উদ্ভাবন, DGPS সংযুক্ত “সয়েল ম্যাপিং”

বিশেষ প্রতিবেদন, ৩ মার্চ:

বর্তমান সময়ে GPS বা Global Positioning System এক অতি প্রচলিত নাম। আমরা বিভিন্ন সময়ে ম্যাপে কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য বা কোনো গন্তব্যে সহজে পৌঁছানোর জন্য GPS ব্যবহার করে থাকি। আর এই GPS এরই আরও অত্যাধুনিক অবতার হল DGPS বা Differential Global Positioning System। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টর তথা অধ্যাপক ভি কে তিওয়ারি ও অধ্যাপিকা স্নেহা ঝাঁ এক বিশেষ যন্ত্র তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোন স্থানের মাটির ধরণ এবং চরিত্র বুঝে ফেলা যাবে। ফলে মাটির প্রকৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট মানচিত্র তৈরি করা আরও সহজ হতে চলেছে।

কোন জমিতে নাইট্রোজেন, পটাশ ও ফসফেট এর মাত্রা কত, জমিতে কি ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে, ঠিক কি ধরনের কীটনাশক ও আগাছানাশক প্রয়োগ করতে হবে, জল কতটা লাগবে সবকিছুরই হদিশ দেবে এই যন্ত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে কৃষকরা তাঁদের মাটির নমুনা নিকটবর্তী মৃত্তিকা পরীক্ষাগারে নিয়ে যেতেন এবং সেই পরীক্ষার ফলাফল আসতেও সময় লাগত। পাশাপাশি সেই ফলাফলের ভিত্তিতে মানচিত্র তৈরি ছিল আরও কষ্টকর কাজ। কিন্তু এই যন্ত্র তৎক্ষণাৎ মাটির নমুনা পরীক্ষা করে রিয়েল টাইম তথ্য দিয়ে ম্যাপ তৈরি করবে। এই প্রসঙ্গে ড: ভি কে তিওয়ারি জানান, ” আমরা প্রথমে এক হেক্টর জমিকে পুষ্টিগত মূল্যের বিচারে ৩৬ টি গ্রিডে বিভক্ত করেছি। তারপর সার প্রদানকারী যন্ত্রাংশের সাথে DGPS মডিউল এবং GUI সংযুক্ত মাইক্রোপ্রসেসর ও মাইক্রোকন্ট্রোলের মাধ্যমে কোন গ্রিডে কতোটা সার লাগবে তা সহজেই নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি।” সাধারণভাবে ট্রাক্টর এর সাথে যুক্ত থাকবে এটি। উদ্ভাবকদের মতে, তাঁদের তৈরি যন্ত্র জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। যে কারণে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে জমি বন্ধ্যা হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা  কমবে।

Social Sharing

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *