বিশেষ প্রতিবেদন, ৭ মার্চ:
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডসফর রাজনৈতিক মহলে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। ভোটের আবহে ব্রিগেডের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল পদ্মশিবিরের কাছেও। রবিবার ব্রিগেড থেকেই ‘’আসল’’ পরিবর্তনের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতায় পৌঁছেই তিনি টুইট করেন,”বিপুল জনসমাবেশের দিকে যাচ্ছি।” পাশাপাশি বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “রাজনৈতিক জীবনে বহু সমাবেশ করেছি। কিন্তু এমন সমাবেশ দেখিনি।” আজকের সভা থেকে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এবার বাংলায় আসল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভোট দিন। দিদি বামেদের বিরুদ্ধে যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, সেই পরিবর্তন কি আদৌ এসেছে? বাংলার গরিব মানুষের জীবন কি বদলেছে? বাংলার খুন-খারাপির রাজনীতি কি বদলেছে? আজ বাংলায় মা-মাটি-মানুষের কী পরিস্থিতি সেটা ভাল করেই জানেন আপনারা।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আসল পরিবর্তনের মন্ত্র বাংলার সরকারের প্রেরণা হবে, আদর্শ হবে। আসল পরিবর্তন মানে, এমন বাংলা যেখানে মানুষ শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। আসল পরিবর্তন মানে যেখানে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হবে, বিনিয়োগ বাড়বে। আসল পরিবর্তন মানে এমন বাংলা যেখানে উন্নতিতে সব ক্ষেত্র, সব বর্গ সমান ভাগীদার হবে। আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া, বঞ্চিত বা শরণার্থী, সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে।”
এদিকে, আজকের সভাতে বিজেপিতে যোগ দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। গেরুয়া শিবিরে আসার পর “মহাগুরু” মঞ্চ থেকে বলেন, “আজকের দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। জীবনে কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এই স্বপ্নটা দেখিনি যে ভারতের তাবড় তাবড় নেতাদের মঞ্চে থাকব। কিছুক্ষণ পরেই আসবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের বৃহত্তম নেতা নরেন্দ্র মোদী। ১৮ বছরে একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। গরিবদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজ যেন সেই স্বপ্নটা কোথাও দেখতে পাচ্ছি। কেউ অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। আমার মতে, বাংলায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা সবাই বাংলার। মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে চলবে। আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোরাও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি, এবার এটাই হবে।”