বিশেষ প্রতিবেদন, ২ এপ্রিল:
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয় “হাইভোল্টেজ” কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। ভোট চলাকালীন নন্দীগ্রামের বয়াল ৭ নম্বর বুথে পৌঁছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেখানকার প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের শীর্ষ প্রতিনিধিদের একটি দল নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষনেতা যশবন্ত সিনহা, বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ দোলা সেন।
জানা গিয়েছে, মোট ৩০০টিরও বেশি অভিযোগ কমিশনের কাছে জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “৩০০টি নির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা জমা দিয়েছি। এই প্রথম ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। যেখানে বিজেপি জোর করে ভোট করার চেষ্টা করছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব থাকছে। আমাদের দাবি, যেসব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যেন পরবর্তীকালে ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়।”