বিশেষ প্রতিবেদন, ২৪ মার্চ:
বর্তমান সময়ে রাস্তায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। পাশাপাশি, বাড়ছে দুর্ঘটনাও। এমবতাবস্থায়, প্রায়শই গাড়ির ব্রেক ফেল হয়ে দুর্ঘটনার খবর উঠে আসে খবরের শিরোনামে। মাঝে মাঝেই যা প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই, চলন্ত গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়া মানে তা নিঃসন্দেহে বিপদ ডেকে আনে।
তবে, গাড়ির ব্রেক ফেল করলেও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব বড় দুর্ঘটনা। মাথা ঠান্ডা করে কিছু পদ্ধতিগত উপায় অবলম্বন করলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব গাড়ি। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গই বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল। সাধারণত, গাড়ির ব্রেক ফেলের অনেক আগে থেকেই একাধিক লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির ব্রেকপ্যাডস থেকে আওয়াজ আসার সাথে সাথে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রেক ক্যালিপারস আটকে যায়। এরকম সময় আশঙ্কা থাকে ব্রেকের তার ছিঁড়ে যাওয়ার।
* গাড়ির ব্রেক ফেল হলে সবার আগে গতি কমিয়ে এনে অনবরত গাড়ির ব্রেক প্যাডেলে চাপ দিতে থাকুন। বারংবার এই চাপ দিলে ব্রেক ঠিকমতো প্রেসার পাবে ও আগের মতো কাজ শুরু করে দিতেও পারে।
* এমতাবস্থায়, গাড়ি যদি টপ গিয়ারে থাকে তাহলে অবশ্যই ধীরে ধীরে তা লোয়ার গিয়ারে নামিয়ে আনুন। তবে, এই সময়ে কখনই গাড়ি নিউট্রাল করবেন না। এছাড়াও, রিভার্স গিয়ারও ব্যবহার করবেন না।
* পাশাপাশি, এই সময়ে এক্সিলেটরের বদলে ক্লাচ ব্যবহার করুন। এছাড়াও, রাস্তায় খুব ভিড় থাকলে অনবরত হর্ন বাজাতে থাকুন। রাত হয়ে গেলে হেডল্যাম্প ডিপার্স, হ্যাজার্ড লাইট ছাড়াও ইন্ডিকেটরস জ্বালিয়ে দিয়ে বাকি গাড়িগুলিকে সতর্ক করে দিন।
* এছাড়াও, কখনই গাড়ির গতি খুব বেশি থাকলে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করবেন না। এতে গাড়ি উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে গাড়ি যদি ফার্স্ট গিয়ারে ৪০ কিলোমিটার বেগে ব্রেক ফেল করে তাহলে হ্যান্ড ব্রেকেই কাজ হবে।
* যদি বুঝতে পারেন যে, গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছে তাহলে গাড়ির এসি অন করে দিন। এর ফলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ বাড়বে এবং গাড়ির গতি স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। এছাড়াও, সামনে যদি কাদা বা বালি থাকে তাহলে সরাসরি সেদিকে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, যার ফলে গতি হ্রাস পাবে।