বিশেষ প্রতিবেদন, ২৪ মে:
এমনিতেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে লাগাতার সওয়াল করে চলেছে বিজেপি। এমনকি, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্য ভাগকে ঘিরে মন্তব্যের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল, সেই একই সুর শোনা গিয়েছে কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়কের বক্তব্যেও। তবে, শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, এর আগে পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পক্ষে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে।
সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ফের একবার পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবিতে সুর চড়িয়েছেন সৌমিত্র। এই প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, “উত্তরবঙ্গ যেমন ভাবতে শুরু করেছে, আমাদের এলাকাতে আমরাও জঙ্গলমহল রাজ্য কেন চাইব না? রাঢ়, বর্ধমান থেকে শুরু করে বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, আসানসোল, এই যে জায়গাগুলো আছে, এইগুলোকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাবুদের কাছে রাখার কোনও মানে হয় না।”
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “দামোদরের চরের বালি দিয়ে কলকাতার বাবুদের বাড়ি তৈরি হবে। আর এখানকার মানুষরা খেতে পাবেন না কেন? আমাদের সব সম্পত্তি কলকাতা নিয়ে চলে যাচ্ছে।” শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি ৪৬ টি জেলা করতে পারেন, তাহলে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আমিও কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব।”
এদিকে, সৌমিত্রের এহেন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র কটাক্ষ জানিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “জেতার আগে তো বলেননি অন্য রাজ্য ৷ এখন জঙ্গলমহল হাসছে। সেখানে উন্নয়নও হচ্ছে। আসলে প্রচারের আলোয় থাকতে এসব মন্তব্য করছেন।” পাশাপাশি, তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীও সমালোচনা করেছেন ওই দাবির। তাঁর মতে, “বিজেপি বহু দিন ধরেই এই রাজ্যকে ভাঙার চক্রান্ত করছে। জঙ্গলমহলের মানুষও চায় না রাজ্য থেকে আলাদা হতে।”