বিশেষ প্রতিবেদন, ২৬ নভেম্বর: স্কুলে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা হল তিন। যদিও, তাঁদের মধ্যে এক দিদিমণি রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। আর আরেকজন নিয়েছিলেন ছুটি। এমতাবস্থায়, গত শুক্রবার স্কুলে উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক। আর সেই দিনই একইসাথে ৫০ জন পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের পাড়ুই থানার অন্তর্গত মালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওইদিন ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে থাকা স্লিপে চড়ে ক্রমাগত খেলাধূলা করছিল। সেই সময়ে স্কুলে উপস্থিত ছিল মোট ৫০ জন পড়ুয়া। এমতাবস্থায়, তাদের ক্রমাগত দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হয়ে ৫০ পড়ুয়াকেই বেধড়ক মারধর করেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ পাইন। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকের মারে প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি, গুরুতর জখম অবস্থায় ৫-৬ জন পড়ুয়াকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা। তবে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কোনো প্রতিক্রিয়া না মিললেও অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, স্লিপ থেকে পরে দুই ছাত্র জখম হওয়ার পরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক জানিয়েছেন “ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার স্কুল পরিদর্শককে ঘটনার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি।” পাশাপাশি, বর্তমানে ওই শিক্ষককে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।