বিশেষ প্রতিবেদন, ৭ এপ্রিল: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) প্রবণতা। এমনকি, তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রেশ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। যা স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে সকলের। মূলত, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর জন্য এবং হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার লক্ষ্যে প্রতিদিন কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমিয়ে ফেলা সম্ভব অনেকটাই। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন ৫ টি টিপসের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেগুলি অনুসরণ করলে ভালো থাকবে আপনার হৃদযন্ত্র।
১. করাতে হবে নিয়মিত চেকআপ: যাঁদের ইতিমধ্যেই হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন এবং চেকআপ করাতে থাকুন। এদিকে, বয়স ৪০-এর উপরে হলেই পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলকেই সতর্ক থাকতে বলেন চিকিৎসকেরা। এমতাবস্থায়, বুকে সামান্যতম ব্যথা অনুভূত হলেও তা এড়িয়ে যাবেন না। পাশাপাশি, যাঁদের হার্টের সমস্যা নেই, তাঁরাও মাঝে মাঝে চেকআপ করিয়ে নিতে পারেন।
২. কমিয়ে ফেলুন মানসিক চাপ: বর্তমান সময়ে অনেকেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে মানসিক চাপের কারণেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতাও। সেইকারণেই মানসিক চাপ কমাতে অবশ্যই সচেষ্ট হন।
৩. প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের: সাম্প্রতিক কালের ব্যস্ততার যুগে অনেকেই পর্যাপ্তভাবে ঘুমোতে পারেন না। এদিকে, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, রাত জাগার অভ্যাসেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। মনে রাখবেন যে, প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোনোর প্রয়োজন। অর্থাৎ, সঠিক সময়ে সঠিক পরিমানে না ঘুমোলে তা হার্টের পক্ষে ভালো নয়।
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং শরীর চর্চা করুন: মনে রাখবেন, শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। পাশাপাশি, তেলমশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে, কখনোই খুব ভরপেট খাবার খাবেন না। পাশাপাশি, নিয়মিত শরীর চর্চা করার অভ্যেস থাকাও অবশ্যই দরকার। আপনি বাড়িতেই যোগ ব্যায়ামের অভ্যাস করতে পারেন। তবে, জিমে গিয়ে শারীরিক সক্ষমতা অনুযায়ী ভারি একসারসাইজ করার আগে অবশ্যই ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। নাহলে সেটাই আবার বিপদ ডেকে আনতে পারে।
৫. ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করুন: হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতে আপনার অবিলম্বে ধূমপান এবং মদ্যপান পরিত্যাগ করা উচিত। হার্টের সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে কখনোই ধূমপান করা উচিত নয়। এদিকে, ধূমপানের পাশাপাশি মদ্যপানের অভ্যাসও ত্যাগ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই এড়াতে পারবেন আপনি।