বিশেষ প্রতিবেদন, ১০ এপ্রিল:
বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়ছে জালিয়াতির (Scam) ঘটনা। এমনকি, আপনি এমনভাবে জালিয়াতির শিকার হয়ে যাবেন যা ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না। এমনিতেই অনেক সময়ে কারোর কারোর ফোনে কিছু উদ্ভট নাম্বার থেকে কল আসে। কিছু না বুঝতে পেরে তাঁরা সেই কলগুলি রিসিভ করেন কিংবা কল ব্যাকও করেন। আর ওই ঘটনার মাধ্যমেই পড়ে যেতে পারেন বিপদে। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
মূলত, অনেক সময় দেখা যায় যে, 261-এর মতো বিভিন্ন বিদেশি নম্বর থেকে অদ্ভুত অদ্ভুত সব সময়ে (মাঝরাতে কিংবা ভোররাতে) ফোন আসে। এদিকে, এক-দু’বার রিং হয়েই কেটে যায় সেই কল। অর্থাৎ, আপনি তৎক্ষণাৎ কলটি রিসিভ করার সুযোগটাই পাবেন না। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই অনেকে কৌতূহলবশত ওই নাম্বারে কল ব্যাক করে বসেন। আর তখনই সেটির অপরপ্রান্ত থেকে ভেসে আসবে, “হ্যালো! ইউ হ্যাভ রিচড দ্য অপারেটর, প্লিজ হোল্ড।” অর্থাৎ, যার বাংলা তর্জমা হল, “আপনি অপারেটরের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন, অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন।” আর ওই অপেক্ষা যত দীর্ঘ হবে ততই বিপদে পড়বেন আপনি। কারণ, তখন আপনার কলের নিরিখেই প্রতি মিনিটের হিসাবে টাকা চার্জ করা হয়।
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক কল রেটের চড়া হারে টাকা আরোপ করা হয়। মূলত, অনেকেরই আত্মীয়-স্বজন বিদেশে থাকেন। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে কোনো আপদকালীন ফোন এসেছে ভেবে অপেক্ষা করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকেই এই ধরণের ঘটনা ঘটলেও এবার রাজ্য তথা কলকাতার বিভিন্ন স্থানেও এহেন ঘটনা ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই রকমের এক একটি কলে আন্তর্জাতিক হারে কয়েকশো ডলার পর্যন্ত বিল হতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৮,০০০ টাকারও বেশি। এদিকে, এই কলের বিলের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন পায় প্রতারকরা। তাই, যত বেশি কেউ ফোন ধরে অপেক্ষা করবেন, তত বেশি কমিশন মিলতে থাকে। পাশাপাশি, সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এই ধরণের ফোন কল করা হয়। ফলে কে ফোন করছে তা ধরা যায় না।” আর সেই কারণেই এহেন কল থেকে সাবধান থাকা উচিত বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।