বিশেষ প্রতিবেদন: ৮ নভেম্বর, ২০১৬; সবাইকে চমকে দিয়ে ওই দিনটিতেই দেশে (India) নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। যদিও, তারপরেই বাজারে আসে ২,০০০ টাকার নোট। তবে, ওই নোটের সার্কুলেশন বন্ধ করার জন্য গত বছর নির্দেশিকা জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India)। এমতাবস্থায়, ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে তা প্রত্যাহার করার ঘোষণা করা হয়। এদিকে, এই সিদ্ধান্ত জনসাধারণ, ব্যাঙ্ক এবং অর্থনীতিতে কি প্রভাব ফেলেছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য RBI এবার জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সার্কুলেশন থেকে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে একটি পার্থক্য তৈরি হতে শুরু করেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে সার্কুলেশন হওয়া নোটের সংখ্যায় গ্রোথ ৩.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। যেখানে এক বছর আগে ছিল ৮.২ শতাংশ। উল্লেখ্য যে, কারেন্সির সার্কুলেশন বলতে অর্থনীতিতে প্রচলিত মোট নোট এবং কারেন্সিকে বোঝায়। এতে ব্যাঙ্কে জমা থাকা নগদ অর্থ বিযুক্ত করে বোঝা যায় যে, জনগণের হাতে কত মুদ্রা বা কারেন্সি রয়েছে।
RBI জানিয়েছে যে, ২,০০০ টাকার নোট বাতিল করার কারণে, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির টোটাল ডিপোজিটে ডবল ডিজিটে গ্রোথ পরিলক্ষিত হয়েছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারিতে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ব্যাঙ্কগুলির রিজার্ভ কারেন্সির গ্রোথ নেমে আসে ৫.৮ শতাংশে। এক বছর আগে এটি ছিল ১১.২ শতাংশে। জানিয়ে রাখি যে, রিজার্ভ কারেন্সির মানে হল কারেন্সি-ইন সার্কুলেশনের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে থাকা ব্যাঙ্কের ডিপোজিট এবং অন্যান্য আমানত।
আরও জানুন: Mahashivratri: ৮ নাকি ৯ মার্চ? কবে মহাশিবরাত্রি? জেনে নিন পুজোর সঠিক তারিখ ও শুভ সময়
গত বছর নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়: উল্লেখ্য যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০২৩ সালের ১৯ মে নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে সার্কুলেশন থেকে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে। এমতাবস্থায়, প্রথম নির্দেশ অনুযায়ী জনসাধারণকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ওই নোটগুলি ব্যাঙ্কে ফেরত জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল।
যদিও, তারপরে আরও ১ সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়। এখন ব্যাঙ্কে আর ২,০০০ টাকার নোট বদলাবে না। এদিকে, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪-এর মধ্যে ২,০০০ টাকার নোটের প্রায় ৯৭.৫ শতাংশ ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে এসেছে। এখন জনগণের কাছে ৮,৮৯৭ কোটি টাকার ২,০০০-এর নোট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৯ মে ২০২৩-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই সময়ে সার্কুলেশনে থাকা ২,০০০ টাকার নোটের মোট মূল্য ছিল ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা।