বিশেষ প্রতিবেদন, ৩০ জুন:
এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খোঁজ মিলল মালদহের বামনগোলা ব্লকের জগদ্দলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জানা গিয়েছে, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত এক বছর ধরে কোনো চিকিৎসক নেই। এমতাবস্থায়, বহাল তবিয়তে সেখানে রোগীদের চিকিৎসা করছেন একজন গ্রুপ-ডি কর্মী। দিনের পর দিন ধরে তিনি এভাবেই রোগী দেখে আসছেন। জানা গিয়েছে মূলত, হোমিওপ্যাথি ওষুধের সাহায্যেই চিকিৎসা করেন তিনি।
যদিও, গ্রামবাসীরা ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন, ওই গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য আসেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু, এখন কার্যত উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই গ্রূপ ডি কর্মী রঞ্জিত দাসের দেওয়া হোমিওপ্যাথি ওষুধের ওপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে তাঁদের! এমনকি, বিষয়টি সিএমওএইচ-এর কাছে জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলে জানান তাঁরা।
এদিকে, ওই প্রসঙ্গে রঞ্জিত বাবু স্পষ্ট দাবি করেছেন, “আপাতত ডাক্তারবাবু ছুটিতে থাকায় আমাকেই রোগী দেখতে বলে গিয়েছেন।” পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে, রোগীদের তিনি সঠিক ওষুধই দেন। যদিও, একজন গ্রুপ ডি কর্মী কিভাবে দিনের পর দিন চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন তা নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা।