বিশেষ প্রতিবেদন, ১২ এপ্রিল: একটানা প্রায় দু’সপ্তাহ যাবৎ দেখা নেই বৃষ্টির। এমনকি, বৈশাখের আগেই ৪০ ছুঁই-ছুঁই শহরের তাপমাত্রার পারদ (Weather Update)। যার ফলে তীব্র গরমে কার্যত বাইরে বেরোনোই দায়। এমনকি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং বর্ষবরণের আবহে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। যার ফলে আগামী শুক্র ও শনিবারে তৈরি হবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে লু বইবার আশঙ্কাও।
মূলত, দক্ষিণবঙ্গে এবার পশ্চিমের রাজ্যগুলির মত শুকনো গরম হাওয়া বইবে। যার ফলে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এদিকে, শনিবার পর্যন্ত নেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও। তবে, দু -এক জেলায় খুব সামান্য ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। রাজ্যের এই অংশে আগামী কয়েকদিনে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এমনকি, আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, উত্তরবঙ্গের মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির গন্ডি পেরিয়ে ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে।
এদিকে, আগামী কয়েকদিন কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহর কলকাতার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২৯ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এমতাবস্থায়, তীব্র গরমের জেরে বাড়ছে “সান স্ট্রোক”-এর আশঙ্কা। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খুব প্রয়োজন না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভালো। এমনকি, যদি বেরোতেই হয় সেক্ষেত্রে ঢিলেঢালা পোশাক থেকে শুরু করে ছাতা, সানগ্লাসের ব্যবহার এবং বেশি পরিমানে জল খাওয়ার উপরে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শও জানিয়েছেন তাঁরা।