বিশেষ প্রতিবেদন, ২৬ ফেব্রুয়ারি:
এবার বেসরকারিকরণে আরও জোরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বুধবার “ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট” আয়োজিত ওয়েবনিয়ারে তেল, গ্যাস, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার বাজার তৈরি হবে বলে জানান তিনি। ২০২১ এর বাজেটে নির্মলা সীতারামন বেসরকারিকরণের যে কথা বলেছিলেন, সেই সুরই এবার শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
তিনি জানিয়েছেন,”ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। সরকারের দায়িত্ব শিল্পপতি, উদ্যোগপতি, ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়ানো।” ২০২১-২০২২ এর বাজেটের প্রসঙ্গ তুলে এনে তিনি বলেন, “ষাট ও সত্তরের দশকের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তৈরির প্রয়োজন ছিলো। এখন সময় পাল্টেছে তাই নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছে। বিভিন্ন সরকারী সংস্থায় উচ্চপদস্থ দক্ষ সরকারি আধিকারিকের ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই বেসরকারি মালিকানাধীন হলে নতুন প্রযুক্তি, পেশাদারিত্ব, দক্ষ কর্মচারীর সংখ্যা বাড়বে।” ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে ধুঁকতে থাকা সংস্থা গুলিতে জনগণের ট্যাক্সের টাকার অপব্যবহার বন্ধ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মূলত চারটি স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরে নূন্যতম একটি করে সংস্থা ছাড়া বাকি সরকারের হাতে থাকা সমস্ত কোম্পানি বেসরকারি হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও জোর তরজা শুরু হয়েছে এই ব্যাপারে। কংগ্রেস ও বাম দলগুলি এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
It’s a shameful decision. Because Government has the man power and if they can’t utilise the power, it’s their fault.